সাইয়্যেদ মোহাম্মদ তাকী বিন সাইয়্যেদ আবদুল রাজ্জাক মুসাভি ইসফাহানি (১৩০১-১৩৪৮ হিজরি) যিনি "ফকিহ আহমেদাবাদী" নামে পরিচিত ছিলেন একজন আলিম, বক্তা এবং ১৪ শতকের হিজরির ইসফাহানের অন্যতম মুজতাহিদ।

মোহাম্মদ তাকী মুসাভি ইসফাহানী, তিনি ইসফাহানের আলেমদের কাছ থেকে আনুকূল্য অর্জন করেন এবং ইজতিহাদের স্তরে পৌঁছান। তিনি হযরত ওয়ালি’আছর(আজ্জিলাল্লাহু তা’আলা ফারাযাহুশ শরীফ)এর ভক্ত ও অনুরাগীদের একজন ছিলেন। অল্প বয়স হওয়া সত্ত্বেও, তিনি প্রায় সতেরো খণ্ডের বই ও গ্রন্থ রচনা করেন, যার মধ্যে চারটি খণ্ড হজরত মাহদী(আ.)এবং তাঁর অনুপস্থিতি, অপেক্ষা এবং অপেক্ষাকারীদের কর্তব্য এবং মিকয়ালুল মাকারিম গ্রন্থটি তার সবচেয়ে বিখ্যাত বই ছিল।

কিছু রিপোর্ট অনুসারে, এই আলিম বাহায়াত সম্প্রদায়ের দ্বারা বিষপ্রয়োগ ও শহীদ করা হয়েছিল এবং ইসফাহানের তাখতে ফৌলাদ সমাহিত করা হয়েছিল।

মোহাম্মাদ তক্বী মুসাভী আল ইসফেহানী

মোহাম্মদ মুনীর হোসেন খান

মোহাম্মাদ আলী মোর্তজা

মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন খান (লেখক, সাংবাদিক, গবেষক ও অনুবাদক) জন্ম ঃ ১৯৫০ একুশে ফাল্গুন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবীনগর থানাস্থ বিটঘর গ্রাম। '৭৫ ও '৭৬ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার ডিগ্রী লাভ। '৭২ থেকে '৭৫ পর্যন্ত ঢাকার দৈনিক দি পিপল পত্রিকার সাব-এডিটর। '৭৭ থেকে '৯৬ পর্যন্ত ইরান অবস্থান। রেডিও তেহরানের বাংলা বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক (১৯৮২-৯৬)। ইসলামী রিপাবলিক পার্টির ইংরেজি সাপ্তাহিকীর সম্পাদক ও তেহরান ইকোনােমিষ্টের সহযােগী সম্পাদক। '৯৬এর শেষ দিকে প্রত্যাবর্তন ও ঢাকায় অবস্থান। বর্তমানে বাংলাদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মােল্লা ছাদরার উচ্চতম বুদ্ধিবৃত্তিক ঐশী প্রজ্ঞা-দর্শনের উপর পি, এইড. ডি কর্মে নিয়ােজিত। পেশা ও নেশা ও ইসলামী সভ্যতা, সংস্কৃতি ও সাহিত্য, বিশেষ করে দর্শন-প্রজ্ঞা, আধ্যাত্মিকতা ও শিশু-কিশাের সাহিত্য এবং ফার্সী কাব্য-সাহিত্য নিয়ে অধ্যয়ন, গবেষণা, গ্রন্থনা, অনুবাদ ও অনুশীলন। ভ্রমণ ও এশিয়ার অনেক দেশ। প্রকাশিত গ্রন্থাবলী ও সহিফা প্রকাশনী থেকে ঃ সুলতান মাহমুদের দাড়ি (মসনবী শরীফের গল্প), উচ্চতর বুদ্ধিবৃত্তিক প্রজ্ঞা (ঐশী দর্শন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্য), ইমাম খােমেনীর কবিতা, কালিলা ও দিমনা কিশাের (ক্লাসিক), হাজার মাযারের জনপদ (ভ্রমণ কাহিনী)। আলে এছহাক প্রকাশনী থেকে ও ছােট বেলায় প্রিয় নবী (সঃ), ও রাসুলুল্লাহর প্রতি বিরােধী নেতা বুদ্ধিজীবীদের চ্যালেঞ্জ (বিতর্ক ও মুক্তালােচনা)। ইরান থেকে প্রকাশিত ও ইমাম খােমেনীর নিজস্ব ও তাঁর উপর রচিত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ (অনুবাদ)। বাংলাদেশ ও ইরানের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও বেতারে বাংলা, ইংরেজী ও ফার্সী ভাষায় অসংখ্য প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা ও সাক্ষাতকার প্রকাশ ও প্রচার। বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সােসাইটি থেকে প্রকাশিত (কিশাের ক্লাসিক ও শিশুতােষ) ও শিয়াল ও কাক (রঙিন), ইদুর ছানাদের স্কুল যাত্রা (রঙিন), পশু-পাখীর গল্প-১ এবং ২, আজব শিশু (হাই ইবনে ইয়াক্র্যান), সাধু-শয়তান (কিশাের উপন্যাস)। ঢাকার অন্যান্য প্রকাশনা ও রুবাইয়াত-ই-হাফেজ্জী হুজুর, শাহাদতের আরজু, প্রেম ও প্রতিরােধের বাণী। মুদ্রণের অপেক্ষায় ঃ শিশু-কিশােরদের জন্য অনেক গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি, জ্ঞানতত্ত্ব (ইসলামী প্রজ্ঞা দর্শনের আলােকে), ইসলামী দর্শনে কার্যকারণ বিধি, হজ্জ্ব সফরের অভিজ্ঞতা (দৈনিক আল-মােজাদ্দেদে প্রকাশিত), ইরানী আরেফ ওলীদের কথা, ইমাম খােমেনীর জীবনী (বিপ্লব পূর্ব), সাদী-হাফেজ-রুমী-ফেরদৌসীর কবিতা, মসনবীর কাহিনী, শামসে তাবরিজীর প্রেমে (পীরের প্রেমে), গুলিস্তান ও বুস্তানের কাহিনী, রাসুলুল্লাহর সমকালীন মুর্তাদ বুদ্ধিজীবীগণ (দৈনিক আল মুজাদ্দেদে প্রকাশিত), ইহুদীদের ইতিহাস ও ফিলিস্তিন সংগ্রাম, মােল্লা ছাদরা ও তার উচ্চতম ঐশী দর্শন, পশ্চিমা খাদ্যাভ্যাস আধুনিক রােগ-শােকের কারণ (স্বাস্থ্য বিষয়ক)।

মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন খান

নসীম হিজাজী

সৈয়দ মোর্তাজা আল-আসকারী, আল্লামাহ আসকারী (১২৯৩-১৩৮৬শ/১৩৩২-১৪২৮হ), জীবনীকার এবং ইতিহাসবিদ(সীরেহ নেগার ও মোওয়ার্রিখ) নামে পরিচিত। তাঁর রচনায় তিনি ইসলামের ইতিহাসকে গবেষণার দৃষ্টিকোণ দিয়ে যাচাই করার চেষ্টা করেছেন। তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বইগুলি হল খামসুনা ওয়া মে’আ সাহাবী মুখতালাক্বুন, আল-তাওয়াস্সুল বিন নবী(সা.) ওয়া আল-তাবার্রক বিআছারিহি, আবদুল্লাহ ইবনে সাবা ওয়া আসাতির উখরা। তিনি ওয়ার্ল্ড আহল আল-বাইত অ্যাসেম্বলির(মাজমায়ে জাহানী আহলে বাইত(আঃ)) সুপ্রিম কাউন্সিলের সদস্য এবং ইরাকের বাথবাদী শাসনের বিরুদ্ধে সক্রিয় আলেমদের একজন এবং দীর্ঘদিন ধরে ইসলামিক কল পার্টির প্রধান কর্মীদের একজন সদস্য ছিলেন।

জীবনী

সৈয়দ মোর্তাজা আসকারী ১৮ জামাদি আল-ছানি ১৩৩২ হিজরি/১২৯৩ শামসী সামার্রাতে জন্মগ্রহণ করেন।

তার পূর্বপুরুষগণ তাদের যুগের ফকীহ ও আলেমদের মধ্যে ছিলেন।

সৈয়দ মোর্তাজার পিতামহ সৈয়দ ইসমাইল হুসায়নী (মৃত্যু ১৩০৬ হি) ছিলেন, সৈয়দ মোহাম্মাদ কোচাক সাওজি এবং তাঁর মাতামহ মির্জা মুহাম্মাদ শরীফ আসকারী তেহরানির (মৃত্যু ১৩৭১ হিজরি) পুত্র ছিলেন।

সাফাভিদের যুগে, তার পূর্বপুরুষদের সাবজাওয়ার থেকে সাওয়া আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তাকে শাইখ আল-ইসলাম উপাধি দেওয়া হয়েছিল।

শাইখ আল-ইসলামীর অবস্থান সে যুগে ইমামে জুম’আর মতই ছিল। তার মতে, এই শহরের অনেক সুন্নি তার পূর্বপুরুষদের দ্বারা শিয়া হয়েছে। এই পরিবারের সকল প্রবীণরা শাইখ আল-ইসলাম নামে পরিচিত ছিলেন, সৈয়দ মোর্তাজা ব্যতীত, যিনি সামার্রাতে জন্মের কারণে এবং তাঁর পিতার মৃত্যুর পর তাঁর মাতামহের তত্ত্বাবধানে থাকার কারণে আসকারী নামে পরিচিত ছিলেন।

মৃত্যু

সৈয়দ মোর্তাজা আসকারী ২৫ শাহরিবর ১৩৮৬ শামসী (৪ রমজান ১৪২৮ হিজরী) তেহরানের মিলাদ হাসপাতালে অসুস্থতার পর ৯৩ বছর বয়সে ইন্তেক্বাল করেন।

আল্লামাহ সৈয়দ মুর্তাজা আসকারী

সৈয়দ মোহাম্মাদ তিজানী সামাভী, (জন্ম ১৯৩৬ খ্রষ্টাপ), একজন বিখ্যাত তিউনিসিয়ান আলিমে দ্বীন যিনি তার ধর্ম সুন্নি থেকে শিয়াতে পরিবর্তন করেছিলেন। তিজানি মূলত মালিকি ছিলেন। সৌদি আরবে ভ্রমণের পর, তিনি ওয়াহাবী মতবাদের দিকে ঝুঁকে পড়েন এবং ওয়াহাবী আকিদা প্রচারে নিয়োজিত হন, কিন্তু নাজাফ সফর এবং শিয়া আলিমগণদের সাথে আলাপচারিতার পর তিনি শিয়া ধর্মকে বেছে নেন।

শিয়া ধর্ম গ্রহণ করার পর তিনি এই ধর্মের প্রতিরক্ষায় বই লিখেছেন। আন্নাহা কিতাবুন ছুম্মাহতাদায়তো (তখন আমি হিদায়েত পেলাম) বইটি রয়েছে, যেখানে তিনি তার শিয়া ধর্মান্তরিত হওয়ার গল্প এবং শিয়া আলিমদের সাথে তার বৈঠকের বিবরণ দিয়েছেন। তিজানীর শিয়া হওয়ার ফলে ওহাবীদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তার কাজকে জাল মনে করে এবং তাকে ধর্মত্যাগী বলে অভিহিত করেছিল।

তিজানীর মতে, শিয়া অনুকরণের উত্সগুলির মধ্যে শরফুদ্দিন এবং সৈয়দ মুহাম্মাদ বাকির সদরের আল-মোরাযে’আত ওয়ান নাস এবং আল-ইজতিহাদ বইগুলি তার শিয়া ধর্মান্তরিতকরণে সর্বাধিক প্রভাব ফেলেছিল।

ডঃ মুহাম্মদ আল তিজানী আল সামাভী

সাইয়্যেদ আবদুল হুসাইন শারাফুদ্দীন আল মুসাভী

সাইয়েদ আলী খামেনী

আল্লামা মোহাম্মদ বাকির মজলেসী রহ

আলী নওয়াজ খাঁন

সৈয়দ রুহুল্লাহ মুসাভি খোমেনী (1381-1281) ইমাম খোমেনী নামে পরিচিত, ইসলামী বিপ্লবের নেতা এবং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিষ্ঠাতা, চতুর্দশ শতাব্দী হিজরিতে অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিয়া অনুকরণকারী।

1341 সাল থেকে, তিনি ইরানে পাহলভি রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য সংগ্রাম শুরু করেন। সরকার তাকে দুইবার গ্রেপ্তার করে এবং দ্বিতীয়বার তুরস্কে এবং তারপর ইরাকে নির্বাসিত করে। 13 বছর ধরে নাজাফের সেমিনারিতে, তিনি বিপ্লবী যোদ্ধাদের নেতৃত্ব দেন এবং সেমিনারী ও ধর্মীয় বিজ্ঞানে পড়ান ও লেখালেখি করেন। তিনি 3 ফেব্রুয়ারী, 1979 সালে, জনগণের সংগ্রামের প্রসারের সাথে ইরানে ফিরে আসেন এবং 11 ফেব্রুয়ারী, 1979 এর বিপ্লবের পর, তিনি তার জীবনের শেষ অবধি (5 জুন, 1989) ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নেতা ছিলেন। .

পরম আইনশাস্ত্রের তত্ত্ব, যা শিয়া বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে একটি আইনশাস্ত্র-রাজনৈতিক তত্ত্ব, তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব। তিনি এই তত্ত্বের ভিত্তিতে ইসলামী প্রজাতন্ত্রের সরকার এবং এর সংবিধান গঠনের চেষ্টা করেছিলেন।

ইমাম খোমেনী (রহঃ)

গ্র্যান্ড আয়াতুল্লাহ নাসির মাকারিম শিরাজী, জন্ম ২৫ ফেব্রুয়ারী ১৯২৭ (শিরাজ, ইরান ) একটি ইরানী শিয়া মারজা ' এবং ধর্মীয় নেতা।

জীবনী
তিনি ইরানের শিরাজ শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর ওয়েবসাইট অনুসারে, তাঁর বাবা ছিলেন আলী মোহাম্মদ, তাঁর দাদা ছিলেন মোহাম্মদ করিম, তাঁর পিতামহ ছিলেন মোহাম্মদ বাকের এবং তাঁর পূর্বসূর ছিলেন মোহাম্মদ সাদেক।  তিনি তার স্কুল শেষ করেছেন শিরাজ শহর থেকে।

তিনি আঘ বাবাখান শিরাজী মাদ্রাসায় ১৪ বছর বয়সে আনুষ্ঠানিক ইসলামী পড়াশোনা শুরু করেন। সূচনা পড়াশুনা শেষ করার পরে তিনি আইনশাস্ত্র অধ্যয়ন শুরু করেন (ফিকহ) এবং এর নীতিগুলি (উসুল আল-ফিকহ).

তিনি দ্রুত অগ্রগতি সাধন করেছিলেন এবং প্রায় চার বছরে প্রাথমিক স্তরের এবং মধ্যবর্তী ইসলামী স্টাডির উভয় স্তরের অধ্যয়ন শেষ করেছেন। ঐ সময় তিনি শিরাজের ইসলামী মাদ্রাসায় শিক্ষকতাও করেন।

১৮ বছর বয়সে, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্মতাত্ত্বিক সেমিনারে প্রবেশ করেন ক্বুম শহরে, এবং পরবর্তী পাঁচ বছর ধরে সেই সময়ের কিছু শীর্ষস্থানীয় ইসলামী শিক্ষকের ধর্মীয় সমাবেশ এবং ক্লাসে উপস্থিত ছিলেন যেমন আয়াতুল্লাহ মুহাম্মদ হুসেন বুরুজারদী, এবং আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ কাজিম শরীয়তমাদারি।

নাজাফে
১৯৫০ সালে, তিনি সেমিনারে পাড়ি জমান নাজাফ, ইরাক । এখানে তিনি আয়াতুল্লাহর মতো শিক্ষকদের ক্লাসে অংশ নিতে সক্ষম হন মুহসিন আল-হাকিম, আয়াতুল্লাহ আবুল-কাসিম খুঈ এবং আয়াতুল্লাহ আবদুল হাদী অ্যাশ-শিরাজী।

২৪ বছর বয়সে, তিনি সম্পূর্ণ অনুমোদিত হন ইজতিহাদ নাজাফের দুজন প্রবীণ পন্ডিতের দ্বারা। আয়াতুল্লাহ মুহসিন আল-হাকিম তাঁর প্রশংসা করার জন্য একটি সংক্ষিপ্ত ও বিস্তৃত চিঠিও লিখেছিলেন।

হেতু নাজাফ শহরে তাঁর কাছে বেঁচে থাকা এবং পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় ছিল না, সেই কারণে ১৯৫১ সালে, তিনি ফিরে আসেন ক্বুম শহরে।

ইরানে ফিরে আসার পরে, আয়াতুল্লাহ নাসির মাকেরিম শিরাজী মধ্যবর্তী এবং উচ্চতর স্তরের পড়াশোনা শুরু করেছিলেন উসুল আল-ফিকহ এবং ফিকহ নিয়ে । এছাড়াও তিনি আয়াতুল্লাহ শরীয়তমাদারীর পাশেই ইরানে প্রকাশিত প্রথম ইসলামী ম্যাগাজিনের সম্পাদকীয় বোর্ডের সদস্য ছিলেন।

তিনি তাঁর ফিলসফি-নামহা প্রবন্ধের জন্য ইরান রয়েল একাডেমি অফ ফিলোসফি'র পুরস্কার পেয়েছেন।

নির্বাচিত গ্রন্থপঞ্জি
তাঁর কয়েকটি প্রকাশনা অন্তর্ভুক্ত:

কুরআনের বাণী
আমাদের বিশ্বাস
খুমস বাইত আল মালের স্বাধীনতার তহবিল
সংক্ষেপে কুরআনের অনুবাদ ও ভাষ্য
গ্রেস অফ এথিক্সের অধীনে জীবন
মাহদী সর্বজনীন সরকার
ইসলামিক আইন
যৌবনের যৌন সমস্যা
শিয়া উত্তর
কিফায়াতুল উসুল বইটির ভাষ্য (১৮ বছর বয়সে)
সত্যের প্রকাশ ‌
কুরআনের ভাষ্য (তাফসির নমুনাহ )
কুরআনের বাণী
আনোয়ার আল-ফুকাহাহ
আল-কাওয়াইদুল ফিকহিয়্যাহ
আজাদরীর সীমাবদ্ধতা
তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে
আহলে বাইত (ক) থেকে ৫০ টি জীবন পাঠ

আয়াতুল্লাহ আল উযমা নাসির মাকারিম সিরাজী

আল্লামাহ সৈয়দ মোহাম্মাদ হুসায়েন তাবাতাবাঈ

আল্লামাহ সৈয়দ মোহাম্মাদ হুসায়েন তাবাতাবাঈ, জন্মগ্রহণ করেন ১৭ মার্চ ১৯০৪  তাবরিজ, যিনি আল্লামাহ তাবতাতাঈ নামে পরিচিত ছিলেন, একজন ইরানী বিদ্রোহী, দার্শনিক, বিচারবাদী, রহস্যবাদী এবং ইসলামপন্থী।

এর গুরুত্বটি হ'ল সময়ের পর শিয়া ধর্মতাত্ত্বিক বিদ্যালয়ে দর্শনের উদ্দীপনা এবং উদ্দীপনার কারণে সাফাভিদ.

সাইয়্যেদ মোহাম্মদ হোসেন, কুরআন ও সাহিত্য গ্রন্থগুলির প্রাথমিক শিক্ষার পরে এবং কুলগ্রাফি কৌশলগুলি শেখার পরে, তাবরিজ এবং ধর্মীয় বিজ্ঞানের শিক্ষায় নিজেকে সমর্পণ করেন, যা আইনশাস্ত্র এবং নীতির মত নয়, দর্শনশাস্ত্র হিসাবে , গণিত, নৈতিকতার নৈতিকতা এবং রহস্যবাদ যেখানে তিনি দশ বছর ধরে রয়েছেন।

অর্থনৈতিক সমস্যাগুলির কারণে তাঁকে ইরানে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয় এবং তাবরিজের কাছে শাদাবাড় গ্রামে দশ বছর ধরে নিজেকে কৃষি বজায় রাখতে বাধ্য করা হয়।

পরবর্তীতে তিনি কুরআনে কুরআন ও দর্শনশাস্ত্রের বহিঃপ্রকাশের পাঠ শুরু করেন এবং কুরআনের এই ভাষণের এই বক্তব্যের যুক্তিগুলি "তাফসীর আল-মিজান" সংগ্রহের একটি উপস্থাপনা শুরু করে, এটি একটি অসাধারণ এক্সিকিউটিস যা তাকে প্রায় ১৭ বছর ধরে নিযুক্ত করেছিল। ।

সেই সময় তিনি তেহরানেও দার্শনিক, রহস্যময়, বিভিন্ন ধর্ম ও ইসলামী প্রশ্নগুলির তত্ত্বাবধানে বৈজ্ঞানিক ও দার্শনিক অধ্যয়ন সেশনে অংশ নেন যা তাঁর তত্ত্বাবধানে ছিল।

এই সভায় হেনরি কর্পিন, সৈয়দ হুসায়েন নাসর, দারুশ শায়গান ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন এবং আলমেশ তব্বতাইয়ের সভাপতিত্বে ছিলেন।

তেহরানের এই ধারাবাহিক যাত্রার সময় তিনি দর্শন ও ইসলামী সংস্কৃতির প্রেমীদের সাথে যোগাযোগ করেন এবং কখনও কখনও ধর্ম ও দর্শনের বিরোধীদের সাথেও আলোচনা করেন।

দর্শন ও উত্সাহের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল, তার মধ্যে দর্শন ও উত্সাহীদের একটি দলের উপস্থিতিতে উপস্থিত ছিলেন এবং কার্বিনের মধ্যকার বৈঠকে প্রতিবছর ২0 বছর ধরে সংগঠিত হয়েছিল।

ডাঃ সৈয়দ হোসেন নাসরের মতে, এই বৈঠকগুলি এত উচ্চ স্তরে ছিল এবং আজকের ইসলামিক জগতে এত বিশাল দিগন্ত ছিল যে তাদের সমান ছিল না; কেউ কেউ বলতে পারে যে, মধ্যযুগের সময় থেকে যখন ইসলাম ও খ্রিস্টধর্মের মধ্যে মূলত আধ্যাত্মিকতা ও আধ্যাত্মিকতার মধ্যে সংঘর্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছিল তখন ইসলামী পূর্ব ও পশ্চিমের মধ্যে এ ধরনের যোগাযোগের বিষয়টি আর উপলব্ধি করা হয়নি।

আয়াতুল্লাহ মোতাহারী, আয়াতুল্লাহ জাওয়াদি আমোলি, আয়াতুল্লাহ মিসবাহ ইয়াজাদি ও আয়াতুল্লাহ বাহেস্তি মত তার ছাত্র ইরানের শিয়া ওলামাদের সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত সমসাময়িক ঘোষকদের মধ্যে বিবেচনা করা যেতে পারে।

ফ্রেঞ্চ দার্শনিক ও ইসলামিস্ট হেনরি কর্পিনের সঙ্গে তার বৈজ্ঞানিক সেশনগুলি ইউরোপীয়দের শিয়াবাদের বিষয়ে শেখার জন্য সঠিক স্থল তৈরি করেছিল।

তবত্বই পাশে বহু বৈজ্ঞানিক কাজ রয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি নিচের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে:

"তাফসীর-ই-আল-মিজান" (আরবী ভাষায় ২০ আয়তন)

"ওসুল-ই ফালসাফেফ রাভেশ-ই বাস্তববাদ" (দর্শনের নীতি ও বাস্তবতার পদ্ধতি, যার মধ্যে 14 দার্শনিক নিবন্ধ রয়েছে)

"হাশী বার আসফার-ই সদর আল দিনা শিরাজী" (গলস আদ আল আসফার)

"সানান আল নবী" (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) (এস)

"শিয়া দার এসলাম" (শিয়া ইসলাম)

"হাশিয়ার বার কিফায়ে আল-ওসুল" (অপেরা আল-কিফায়েতে গ্লসস)

নিচের বিষয়গুলির উপর অনেকগুলি গ্রন্থ: শক্তি এবং আইন, ঐশ্বরিক গুণাবলী, ঐশ্বরিক কাজগুলি, অর্থের ভিত্তিতে, রূপকবিন্যাসের উপর, সিনট্যাক্সে, পৃথিবীর সামনে, পৃথিবীতে এবং বিশ্বের পরে, ভবিষ্যদ্বাণী এবং স্বপ্নের ব্যাখ্যা সম্পর্কে ইসলামী সরকার ইত্যাদি (26 চিকিত্সা সংগ্রহ)।

"প্রফেসর হেনরি কর্পিনের সাথে সংলাপ", "ইসলামী শিক্ষা", "ইসলামের সামাজিক সম্পর্ক", "মানুষ ও সমাজ ও সামাজিক বৃদ্ধি", "ইসলামী বিশ্লেষণ", "ধর্ম শিক্ষাদান", "কবিতা নষ্টআলিকের লিখিত পদ্ধতিতে লেখা "," ইসলামের কোরান "," রাওয়ায়ি আল-বায়ান "এর এক্সেকেসিস," গ্লসসে আল বেহার আল আনওয়ার "," ফারসি কবিতাগুলির গানের বই "মেহের-ই আফরুখ", "বিদাত আল হিকমাহ" (দর্শনশাস্ত্রের শুরু) "নিহাত আল-হিকমাহ", (দর্শনশাস্ত্রের শেষ), "প্রকাশক বা গোপনীয় চেতনা", "ইসলাম এবং সমসাময়িক মানুষ", "ইসলামের সরকার" "আলী এবং metaphysics"।

বিভিন্ন নিবন্ধ যেমন "শিয়া মতবাদ, ইসলামী মতবাদের পাঠ এবং পবিত্র বইয়ের নির্দেশিকা" হিসাবে বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

আল্লামা তাবতবাঈদের মৃত্যুর পর, অধ্যয়ন করার উদ্দেশ্যে তাঁর জীবন ও চিন্তাধারা তৈরির উদ্দেশ্যে বহু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতি বছর তার নাম বহনকারী জাতীয় পুরস্কারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক অধ্যাপক এবং ইরানের সেরা গবেষকদের কাছে দায়ী।

এই চরিত্রের জীবন ও কার্যকলাপের উপর একটি টেলিভিশন ধারা তৈরি করা হয়েছে এবং স্কোয়ার এবং রাস্তায়ও, শিক্ষাদান ও অধ্যয়ন কেন্দ্রগুলির নাম তার নাম বহন করে এবং এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল তেহরানের আল্লামা তাবতবাবি বিশ্ববিদ্যালয়।

অনেক বই তার সম্পর্কে লেখা হয়েছে। তাবতবাঈ কওম থেকে ১৫ নভেম্বর ১৯৮১ নিমজ্জিত এবং হযরত মাসূমা সালামুল্লাহ আলায়হা সমাধি পাশের একই শহরে সমাহিত করা হয়।

আল্লামাহ সৈয়দ মোহাম্মাদ হুসায়েন তাবাতাবাঈ

সম্পাদক

লেখক

অনুবাদক

গবেষক

হোম

গ্রন্থাগার

প্রবন্ধ

প্রকাশক

মিডিয়া

শিরোনাম

ক্যাটাগরি

বিষয়

প্রকাশকাল

আইএসবিএন

Books

Articles

মালিক

ম্যানেজার

প্রধান সম্পাদক

ঠিকানা

ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড সিরিয়াল নম্বর

অক্ষর

অক্ষর