গবেষকের দৃষ্টিতে কোরআনের গল্প
গবেষকের দৃষ্টিতে কোরআনের গল্প
0 Vote
133 View
জাপানী ভাষায় কোরআনের প্রথম অনুবাদক ও ইসলাম বিশেষজ্ঞ তুশি হিকু ইজুৎসু ইরান এবং ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতির সাথে বিশ্ববাসীর পরিচয় ঘটানোর জন্যে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি মূল্যবান অনেক বই এবং প্রবন্ধও লিখেছেন। কোরআন,দর্শন এবং আধ্যাত্মিকতা-এই তিনটি বিষয়ে তিনি গবেষণা করেন। তাঁর লেখা মূল্যবান বইগুলোর মধ্যে কোরআনে মানুষ এবং খোদা , কোরআনে ধর্মীয় ও নৈতিকতার মর্মার্থ ইত্যাদি অন্যতম। আমরা আজকের আসরে কোরআনের গল্প প্রসঙ্গে জাপানী এই গবেষকের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে খানিকটা কথা বলার চেষ্টা করবো।
জাপানী ইসলাম-বিশেষজ্ঞ ইজুৎসু'র দৃষ্টিতে সমগ্র কোরআনে বিশেষ করে যেসব স্থানে গল্প বলা হয়েছে সেগুলো থেকে নৈতিক গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জিত হয়। ইজুৎসু আসলে কোরআনে খোদা-নৈতিকতার মর্মার্থ এবং মানুষের মধ্যকার সম্পর্কের একটা কাঠামো আবিষ্কার করার কাজে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি কোরআনে বর্ণিত গল্প-শব্দ-বাণীর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর দৃষ্টিতে কোরআনের একটা নন্দনতত্ত্ব অবশ্যই আছে এবং গল্পের আঙ্গিক বা কাঠামোর বাইরেও শব্দ,বাণী ইত্যাদির ব্যবহারে সেই নন্দনতত্ত্বের প্রয়োগ রয়েছে বলে তাঁর বিশ্বাস। ইজুৎসুর মতে কোরআনে শব্দগুলোকে তসবিহ দানার মতো একটার সাথে একটা গেঁথে বিশাল একটা প্রতীয়মানার্থে প্রয়োগ করা হয়েছে। কোরআনের গল্পগুলোর আয়াতের প্রতীয়মানার্থ অন্যান্য আয়াতের তুলনায় অনেক বেশি। এসব আয়াতে বক্তার শিল্পবোধের প্রমাণ মেলে। স্বয়ং কোরআনেই রাসূলের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে তোমাকে শ্রেষ্ঠতম গল্পগুলো আমরা বলবো-যেসব গল্প সম্পর্কে ইতোপূর্বে তুমি জানতে না। এ থেকে কোরআনের গল্পের নান্দনিক শ্রেষ্ঠত্বের বিষয়টি ফুটে ওঠে।(রেডিও তেহরান)