বিস্ময়কর কুরআন:গ্যারি মিলা-পর্ব-৫;ড. মুর স্বীকার করলেন কুরআন আল্লাহর বাণী
বিস্ময়কর কুরআন:গ্যারি মিলা-পর্ব-৫;ড. মুর স্বীকার করলেন কুরআন আল্লাহর বাণী
0 Vote
89 View
সন্দেহবাদীদের প্রতিক্রিয়া ড. মুর clinical embryology এর উপর একটা বইও লিখলেন এবং তিনি কানাডায় (কুরআনে প্রাপ্ত) এ তথ্য প্রকাশ করলে সেখানে একটা হৈচৈ শুরু হলো। কানাডজুড়ে এটা বিভিন্ন পত্রিকার প্রথম পাতার খবর হলো। এর মধ্যে কিছু শিরোনাম ছিল বেশ হাস্যকর। একটা হেডলাইন ছিল এমন-"প্রাচীন প্রার্থনার বইয়ে বিস্ময়কর জিনিস পাওয়া গেলো!!" এ উদাহরণ থেকে স্পষ্ট বিষয়বস্তুটাই তাদের কাছে পরিষ্কার ছিলনা। এমনকি একজন রিপোর্টার ড. মুরকে প্রশ্ন করলেন, " আপনার কি এমন মনে হয়না যে আরবরা এ জিনিসগুলো জেনে থাকতে পারে, ভ্রুণের বর্ণনা, বাহ্যিক বৈশিষ্ট্য, এটার কীভাবে পরিবর্তন ও বৃদ্ধি হয়।তারা বিজ্ঞানী হয়তো ছিলনা, কিন্তু তারা হয়তো মানবদেহ কেটেকুটে ব্যাবচ্ছেদ করে পরীক্ষা চালিয়েছে।"
অধ্যাপক মুর তখনি তাকে বলে দিলেন যে সে একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ভুলে যাচ্ছে। যে স্লাইডগুলো দেখানো হয়েছিল এবং যেগুলো ফিল্মে প্রক্ষেপণ করা হয়েছিল তার সবগুলোই অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে পাওয়া। কেউ যদি ১৪০০ বছর আগে ভ্রুণবিদ্যা আবিষ্কারের চেষ্টা করতও তাতে লাভ হতোনা সে এটা দেখতোই পারতোনা।
কুরআনে ভ্রুণের বর্ণনা ও বাহ্যিক বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো তুলে ধরেছে সেগুলো এখনো খালি চোখে দেখা যায়না, প্রয়োজন হয় মাইক্রোসকোপ বা অণুবীক্ষণযন্ত্রের। যেহেতু অণুবীক্ষণ যন্ত্র আবিষ্কৃত হয়েছে মাত্র ২০০ বছরের কিছু বেশি দিন ধরে ড. মুর বলেন, "সম্ভবত ১৪০০ বছর আগে কারো একটা মাইক্রোসকোপ ছিল এবং সে এটা দিয়ে নির্ভুল গবেষণা চালায় এবং মুহাম্মাদ সা. কে এটা শিখিয়ে দিয়ে তথ্যটা কুরআনে সংযুক্ত করানোর জন্য রাজী করে। পরে সে যন্ত্রটা নষ্ট করে ফেলে চিরকাল এটা গোপন রাখে। আপনার কি এটা বিশ্বাস হয়? হবার কথা নয় যদিনা আপনি কোন প্রমাণ দেখান কারণ এটা একটি অতি অদ্ভূত যুক্তি।" তখন ড. মুরকে জিজ্ঞেস তরা হলো তাহলে কীভাবে আপনি কুরআনের এই তথ্যকে ব্যাখ্যা করবেন। তিনি উত্তর দিলেন , "এটা তো শুধু ঐশী বাণীই হতে পারে।"
ভূতত্ব ড. মুরের এজন কলিগ মারশাল জনসন টরেন্টো ইউনিভার্সিটিতে ভূতত্ব নিয়ে বিস্তর গবেষণা-রত। ভ্রুণবিদ্যায় কুরআনের বক্তব্য নির্ভুল শুনে তিনি খুবই আগ্রহান্বিত হলেন। তাই তিনি মুসলিমদের বললেন কুরআনে ভূতত্ব বিষয়ক তথ্যাদি সংগ্রহ করার জন্য। আবারো অনুসন্ধানের পর বিস্মিত হতে হলো। যেহেতু কুরআনে অসংখ্য বিষয়ে আলোচনা এসেছে তাই প্রতিটা নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে অনেক সময় লাগবে। এই আলোচনার উদ্দেশ্য পূরণের জন্যে এটা বলাই যথেষ্ট যে কুরআন বিভিন্ন বিষয়ের সুস্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত তথ্য দেয় এবং পাশাপাশি পাঠককে উক্ত বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা গবেষণা করিয়ে যাচাই করিয়ে নেবার পরামর্শ দেয়। সুস্পষ্টভাবেই কুরআনকে নির্ভুল হিসেবে পাওয়া গেছে যা দেখা গেল উপরোক্ত উদাহরণদ্বয়ে।(সূত্র:http://truth-on-top.blogspot.com)