আহলে যিকর-কে জিজ্ঞাসা করুন

আহলে যিকর-কে জিজ্ঞাসা করুন

আহলে যিকর-কে জিজ্ঞাসা করুন

(0 ভোট)

QRCode

(0 ভোট)

আহলে যিকর-কে জিজ্ঞাসা করুন

আহলে যিক্‌-কে জিজ্ঞাসা করুন /৬ পাকের ওয়াদা এবং তাঁর ওয়াদা পূরণ হবেই হবে। এ মর্মে আল্লাহ পাক ইরশাদ করেছেন। উহারা আল্লাহর নূর ফুৎকারে নিভাইতে দিতে চাহে কিন্তু আল্লাহু তাঁহার নূর পূর্ণরূপে উদ্ভাসিত করিবেন, যদিও কাফিররা উহা অপসন্দ করে। আল্লাহ রাব্বল আলামীন স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে, তাদের আমল ধ্বংস হয়ে যাবে। অতঃপর বলেছেন ঃ যারা কুফর গ্রহণ করেছে তারা তাদের ধন-সম্পদ কেবল মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে দুরে সরিয়ে রাখার জন্য খরচ করে এবং পরে এই বিষয় তাদের আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে এবং অবশেষে পরাজিতও হবে আর যারা কুফর গ্রহণ করলে তাদেরকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাওয়া হবে। অতএব ওলামায়ে দ্বীন, সুধী লেখক মন্ডলী এবং ইসলামী চিন্তাবিদদের উপর ওয়াজিব হয়ে যায় (যে অবস্থা তাদের সম্মুখে উপস্থিত) তারা যেন মানুষের নিকট স্পষ্ট ব্যাখ্যা দান করেন এবং সেরাতে মুস্তাকীমের দিকে দিক নির্দেশনা দেন। যেহেতু আল্লাহ্ পাক বলেছেনঃ ‘নিশ্চয়ই আমি যে সব স্পষ্ট নিদর্শন ও পথনির্দেশ অবতীর্ণ করিয়াছি মানুষের জন্য কিতাবে উহা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করার পরও যাহারা উহা গোপন রাখে আল্লাহ তাহাদিগকে লা'নত দেন এবং অভিশাপকারিগণও তাহাদিগকে অভিশাপ দেয়। কিন্তু যাহারা তওবা করে এবং নিজেদিগকে সংশোধন করে আর সত্যকে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করে, ইহারাই তাহারা যাহাদের তওবা আমি কবুল করি, আমি অতিশয় তওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু”। | আল্লাহ্ পাক যখন তার হেদায়েত ও নিদর্শন সমুহ বর্ণনা করেই দিয়েছেন, তাহলে আলেমগন এই বিষয়ের উপর একমাত্র আল্লাহ্ এবং সত্যপক্ষ অবলম্বন করে মুখ খুলছেন না কেন, গবেষণা ও অনুসন্ধান চালাচ্ছেন না কেন? আর আল্লাহ্ যখন তাঁর নেয়ামত সমুহকে পূর্নতা দান করে দিয়েছেন, রাসুল (সাঃ) তার আমানত আদায় করেই দিয়েছেন এবং রিসালত প্রচারের দায়িত্ব সম্পন্ন করে গেছেন এবং উম্মতকে সমস্ত বিষয়ের বুঝ দিয়েই গেছেন, তাহলে এই ফেরকাবাজি, শক্রতা, হিংসা-বিদ্বেশ, একে অপরকে মন্দ উপাধি দ্বারা ভূষিত করার কারণ কি, আর একে অপরকে কাফের বলেই বা আখ্যায়িত করা হয় কেন? এই স্থানে আমি কিছুক্ষন অপেক্ষা করে সমস্ত মুসলমানদের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিতে চাই যে, নাজাত, ঐক্য, সন্তুষ্টি এবং জান্নাতের প্রাপ্যতা, দুটি মুল ভিত্তির (উসুল) উপর নির্ভরশীল ঃ একটি আল্লাহর কিতাব অপরটি ইতরাতে রাসুল (সাঃ) অথবা নাজাতের তরীর উপর আরােহন করলেই কেবল নাজাত হবে এবং ঐ তরী হলেন রাসুল (সাঃ)-এর পবিত্র বংশধর। আর এই কথাটি আমার আবিষ্কার নয়, বরং এটা পবিত্র কোরআনে আলাহ্ পাক ঘােষণা দিয়েছেন এবং রাসুল (সাঃ)-এর পবিত্র হাদীসে বর্ণিত হয়েছে। আজ মুসলমানদের এক প্লাটফর্মে জমায়েত হওয়ার জন্য দুটি বিষয় অতীব গুরুত্বপূর্ণ ও ১ সুরা সাফফ : ৮ ২ সূরা বাকারা : ১৫৯-১৬০